১৯৮৪ ইং সনে ১৪ই এপ্রিল মানিকছড়ি উপজেলা সৃষ্টি হয়। প্রশাসন মানিকছড়ি থানা গঠিত হয় ১০ ডিসেম্বর ১৯৮০ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৫ সালে। ইহার আয়তন: ১৬৮.৩৫ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৪১´ থেকে ২২°৫৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৩৫´ থেকে ৮৯°৫২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে রামগড় উপজেলা, দক্ষিণ ও পশ্চিমে ফটিকছড়ি উপজেলা, পূর্বে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা। পাহাড়, ছোট ছোট নদী, ছড়া ও সমতল ভূমি মিলে এটি একটি অপরূপ সৌন্দর্য্যমন্ডিত ঢেউ খেলানো এলাকা। পাহাড়, ছোট ছোট নদী, ছড়া ও সমতল ভূমি মিলে এটি একটি অপরূপ সৌন্দর্য্যমন্ডিত ঢেউ খেলানো এলাকা।
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ মং রাজবাড়ি, এইচ.এস এগ্রো ফিস প্রোডাক্ট লিঃ (কর্ণেল বাগান), স্মৃতিধাম আন্তর্জাতিক ভাবনা কেন্দ্র, তাহের গার্ডেন, মহামূনি জাদি, আমেরিকান গার্ডেন, রাজ জেতবন বৌদ্ধ বিহার, নানুমা দেবী হল
শিক্ষার হার : শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৪.৭%; পুরুষ ৫২.৬%, মহিলা ৩৬.২%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: রানী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৬)।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস : কৃষি ৬৭.৩২%, অকৃষি শ্রমিক ৬.৬৮%, শিল্প ০.২৭%, ব্যবসা ১০.৯%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ০.৮%, চাকরি ৫.৬৯%, নির্মাণ ০.৪৬%, ধর্মীয় সেবা ০.৩২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৩৭% এবং অন্যান্য ৭.১৯%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫০.০১%, ভূমিহীন ৪৯.৯৯%। শহরে ৫২.০৭% এবং গ্রামে ৪৭.৩৬% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, ভুট্টা, সরিষা, আলু, আদা, হলুদ, শাকসবজি।
প্রধান ফল-ফলাদিব কলা, কাঁঠাল, লেবু, আনারস।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার হাঁস-মুরগি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন : বাহন গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা : রাইসমিল, ফ্লাওয়ারমিল, স’মিল।
কুটিরশিল্প : তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, সুচিশিল্প, দারুশিল্প, বাঁশ ও বেতের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা : মানিকছড়ি বাজার, মহামুনি বাজার, গচ্ছাবিল বাজার, তিনট্যাহরি বাজার এবং মেলা ২টি (১। বৌদ্ধ মেলা, ২। মহামুনি মন্দির সংলগ্ন মাঠে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা) উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য : কলা, কাঁঠাল, আদা, হলুদ, ফুলের ঝাড়ু, বাঁশ, বেত, কাঠ।
প্রাকৃতিক সম্পদ : প্রাকৃতিক গ্যাস (যোগ্যাছোলা সিমুতাং গ্যাস ফিল্ড)।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS